মডেল মেডিসিন শপ স্থাপন ও পরিচালনা প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল ফার্মাসিস্ট সি ক্যাটাগরি কোর্সের নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য।
ফার্মাসিস্ট সি ক্যাটাগরি কোর্স করে আপনি একটি ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এবং ফার্মেসি ব্যবসার জন্য ড্রাগ লাইসেন্স নিতে পারবেন। ফার্মাসিস্ট সি ক্যাটাগরি কোর্সের বই পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের হেল্পলাইন।
একজন ফার্মাসিস্টের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ফার্মাসিস্ট হতে হলে যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদি ফার্মাসি কোর্স ডিগ্রি নিতে হবে। এরপর এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স শেষ করে কাজে নামতে পারেন। মাস্টার্স শেষ না করেও অবশ্য চাকরি করা যায়।
ফার্মাসিতে প্রচলিত ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে।
- * ডিপ্লোমা ইন ফার্মাসি (ডি. ফার্ম)
- * ব্যাচেলর অব ফার্মাসি(বি. ফার্ম)
- * ব্যাচেলর অফ ফার্মাসি প্রোফেশনাল
মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষেই ফার্মাসিতে ডিপ্লোমা কোর্স শুরু হয়। এ কোর্স বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন। এক্ষেত্রে বড় মাপের সাফল্য আনতে চাইলে অনেক পরিশ্রমী আর সৃজনশীল হওয়া চাই। এছাড়া বাংলাদেশে ডিপ্লোমা করে ব্যাচেলর ইন ফার্মাসি করার সুযোগ অনেক সীমিত। অধিকাংশ ডিপ্লোমা ডিগ্রি ৩ বছরের। তবে কোথাও কোথাও ৪ বছরের।
ব্যাচেলর অফ ফার্মাসি ডিগ্রি ৪ বছর মেয়াদি ডিগ্রি। অন্যদিকে ব্যাচেলর অফ ফার্মাসি প্রফেশনাল ডিগ্রি ৫ বছরের দেওয়া হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে, এখন ৫ বছর মেয়াদি ডক্টর অফ ফার্মাসি ডিগ্রিকে আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।
৫ বছরের বি. ফার্ম প্রফেশনাল কোর্সের সঙ্গে সিলেবাসে অনেক সাদৃশ্য থাকলেও ৫ বছরের ফার্ম ডি. কোর্সে ক্লিনিক্যাল ফার্মাসি ও হসপিটাল ফার্মাসির উপর জোর দেয়া হয় এবং এ ডিগ্রির সিলেবাস অনেক আধুনিক। ব্যাচেলর অফ ফার্মাসির পর মাস্টার্স অফ ফার্মাসি ডিগ্রি নিতে হয়। এটি সাধারণত ১-২ বছরের হয়ে থাকে। হাসপাতালে কাজ করার ইচ্ছা থাকলে স্নাতক পাশের পর মাস্টার্স ইন ফার্মাসি উইথ হসপিটাল/কমিউনিটি ফার্মাসি অথবা পাবলিক হেলথ নিয়ে পড়াশুনা করতে পারেন। কেউ যদি ফার্মাসি পড়ে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে গবেষণার দিকে আগ্রহী হন, তবে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়াশুনা করা যেতে পারে। আবার ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে চাইলে ফার্মাসিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর ম্যানেজমেন্ট বা মার্কেটিং নিয়ে পড়া ক্যারিয়ারের জন্য ভালো।
একজন ফার্মাসিস্ট কী ধরনের কাজ করেন?
- * ঔষধ গবেষণা
- * ঔষধ উৎপাদনের সামগ্রিক প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা তৈরি করা
- * ঔষধের মান পরীক্ষা করা ও উন্নয়ন ঘটানো
- * আইন ও নিয়ম মোতাবেক ঔষধ তৈরি করা হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে নজর রাখা
- * ঔষধের বিপণনে মার্কেটিং দলকে সাহায্য করা
- * ঔষধের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
ফার্মাসিস্ট সি ক্যাটাগরি কোর্সের বই নিয়ে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।
1 review for মডেল মেডিসিন শপ স্থাপন ও পরিচালনা প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল