পশু পাখি যে কোন দেশের অতি মূল্যবান সম্পদ তা বলাই বাহুল্য। প্রোটিন জাত খাদ্যের মূল উৎস হিসেবেই শুধু নয় আমাদের দেশের ন্যায় কৃষি প্রধান দেশে কৃষি কাজের জন্যও এদের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। প্রধানত গরু, মহিষ, ছাগল, মেষ ও ঘোড়া আমাদের দেশের গৃহপালিত পশু। এসব গৃহপালিত পশু ছাড়াও কতিপয় পোষা প্রাণী যেমন কুকুর, বিড়াল বাড়ী পাহারা, চিত্তবিনোদন ও সঙ্গী হিসেবে পোষা হয়। গৃহে পালিত পশুপাখি ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি রয়েছে দেশের বনে জঙ্গলে এবং বিভিন্ন চিড়িয়াখানায়।
বাংলাদেশে গৃহপালিত পশুর গুরুত্ব:
বাংলাদেশের আয়তন প্রায় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার আমাদের দেশে ১০৮ মিলিয়ন মানুষ,
২২.৫০ মিলিয়ন গরু, ০.৬৮ মিলিয়ন মহিষ, ২১.৭০ মিলিয়ন ছাগল এবং ০.৮৭ মিলিয়ন মেষ আছে।
অর্থাৎ প্রতি বর্গ কিলোমিটার প্রায় ৭৫০ জন মানুষ বাস করে। আর প্রতি একরে প্রায় ১.০৫ টি গবাদি পশু
রয়েছে। এসব গবাদিপশু প্রধানত নিম্নোক্তরূপে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
(১) কর্মসংস্থান:
(ক) বাংলাদেশে অধিকাংশ পশু পারিবারিক পর্যায়ে পালিত হয়। দেশের শতকরা প্রায় ৫২.৫ ভাগ
পরিবার পশু পালন করে থাকে।
(খ) গ্রামের শতকরা ৫০ ভাগ মানুষের জীবিকা সম্পূর্ণ বা অধিকাংশ পশু সম্পদের উপর নির্ভরশীল।
(গ) বর্তমানে এদেশে সরকারী হিসেব অনুযায়ী ২০,৫৮২ টি এবং পশু সম্পদ অধিদপ্তরের নিবন্ধনকৃত ৫
বা ততোধিক গাভী সম্পন্ন মিনি ডেয়রী খামারের সংখ্যা প্রায় ১১,৯২৮ টি, যেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের
কর্মসংস্থান হয়েছে।
আমাদের বইটির মধ্যে আরও বিস্তারিত দেওয়া আছে।